যারা মৈএি ট্রেনের (ঢাকা-কলকাতা) টিকিট কাটবেন তাদের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য :
১. একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট কাটতে পারবেন, তার মানে যাওয়ার টিকিট ৪ টা, আবার ফেরত আসার টিকিট কাটতে হলে আরেকজন কে সংগে নিতে হবে তার মানে ২ জন ব্যক্তি লাগবে ৮ টি টিকিট কাটতে।
২. মূল পাসপোর্ট অবশ্যই সংগে নিতে হবে। পাসপোর্ট এর ফটোকপি লাগবে না।
৩. কলকাতা থেকে ফেরার টিকিট কাটতে হলে আপনাকে যে স্টেশনে নামিয়ে দিবে সেখান থেকে কাটতে হবে, তবে সেইমে ডে তে নেমে ফেরার টিকিট কাটতে পারবেন না, সময়ের অভাবে কারন ওই ট্রেনটা পৌছবে ৪ টার পর,ইমিগ্রেশন শেষ করে বের হতে হতে ১ ঘন্টার বেশি লাগে আর ওরা টিকিট দেয় সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত। তবে বুদ্ধিমানের কাজ হবে আপনি যদি ফেরার টিকিট কমলাপুর থেকেই কেটে নেন, কারন কলকাতা স্টেশন /ফেয়ারলিপ্লেসে টিকিট কাটতে হলে আপনাকে ওরা একটা ফরম দিবে, সেটা ফিলাপ করতে হবে এবং লম্বা সিরিয়াল থাকে ২/৩ ঘন্টা সময় লেগে যাবে,,তার মানে কলকাতায় টিকিট কাটতেগেলে আপনার দিনের ১ বেলা শেষ।
৪. মনে রাখবেন শেয়ালদাহ স্টেশনে কিন্তু নামাবে না,,ট্রেন আপনাকে নামাবে চিতপুর স্টেশন যেটা কলকাতা স্টেশন নামে পরিচিত।
৫. ব্যাগেজ, সময় এবং ভাড়ার তালিকার জন্য ছবি দেখে নিন।
৬. ফেরার ভাড়া এসি সিট ১৬৬৫ রুপি, কেবিন ২৪৯৫ রুপি জন প্রতি। ফেরার সময় ট্রাভেল ট্যাক্স নেই।
যাওয়ার সময় বাংলাদেশের ট্রেন পেয়েছিলাম যেটা তে ৩ জনের সিংগেল কেবিন ও ছিলো। ফেরার সময় ভারতের ট্রেনে ৬ জনের কেবিন। তবে বেশিরভাগ সময় ট্রেনে সিট/কেবিন খালি থাকে।
৭. ট্রেনে ডলার/রুপি /টাকা নিয়ে কোনো প্রশ্ন বা কোনো জামেলা করে নাই।
৮. আপনি চাকরীজিবি হলে NOC নিয়ে নিন ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে ইমিগ্রেশনের সময় চাইবে।
৯. ট্রেনের দুপুরের খাবার ভালো লাগেনি সম্ভব হলে খাবার সংগে নিলে ভালো হয়।
১০. ট্রেন ছাড়ার ২ ঘন্টা আগে স্টেশনে ইমিগ্রেশন শুরু হয়।
১১. মারক্যুইজ স্টিটে অনেক মানি এক্সচেন্জের দোকান পাবেন। রেট পেয়েছি ৭৩.৮০/৭৪ (১২/১৩ ডিসেম্বর)
১২. ডলার কেনা লস তবে যাতে মানি লন্ডারিং না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
১৩. ঢাকা এবং কলকাতাতে ইমিগ্রেশন শেষ করত এক বা দেড় ঘন্টার বেশি লাগেনি।
ফ্যামিলি বা বাচ্চা থাকলে অবশ্যই ট্রেনে যান, আরামদায়ক হবে এবং ইমিগ্রেশনে বেনাপোল বর্ডারের মত জামেলা বা ভিড় নেই।